জাতীয়
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর ১২টা ৪০ মিনিটে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হলে জনসাধারণের ঢল নামে শহীদ মিনারে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যানার, ফুল ও পুষ্পমাল্যসহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নানান উপকরণ হাতে নিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কণ্ঠে সুর ওঠে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও। দিবসটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষরা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে অধিকার আদায় করে নিতে শিখিয়েছে। সেই শিক্ষা আবারও আমাদের ৫ আগস্টের প্রেরণা হয়ে এসেছে বলেই স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি। স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করতে পেরেছি। এই শহীদরাই আমাদের সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার শক্তি।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন বলেন, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন, বাংলাকে আমাদের মাতৃভাষারূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, অন্যায় চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা মিলি হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালে পূর্বসূরীরা ভাষার জন্য জীবন দিছে বলেই আজ আমরা মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি। শহীদরা শহীদ না হলে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। তাই প্রতি বছরই একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। গর্ববোধ করি বাংলা ভাষায় কথা বলতে। তাদের আত্মদানের প্রতি আমার বিন্ম্র শ্রদ্ধা।