সারাবাংলা
বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগাড় সোসাইটি মাঠ এলাকায় উইন্ডি অ্যাপারেল লিমিটেডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন– ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতি জাফর, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য মনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সদস্য মিলন, নুরুন নবী হায়দার ও পথচারী রিপন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উইন্ডি অ্যাপারেল লিমিটেডে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝুটের ব্যবসা করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারখানাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। বুধবার সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারের কর্মচারী কিবরিয়া খান জনির লোকজন কারখানা থেকে ঝুট আনতে যান। পরে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীরাও সেখানে যান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন।
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন মণ্ডল জানান, সকালে হাসান সরকারের কর্মচারী জনি কারখানায় লোকজন পাঠান। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ছিল। তাঁর (নাজমুল) লোকজন কারখানার সামনে গিয়ে তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় তারা তাঁর লোকজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে বিকেলে পাগাড় শাশাব বাড়ির রয়েল হায়দারের ছেলে নুরুন নবী হায়দারকে রাস্তায় আটকে মারধর করে তারা। এ সময় পাঁচজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কিবরিয়া খান জনি বলেন, কারখানার ওয়ার্ক অর্ডার তাঁর নামে। তিনি কারখানায় যাননি। তাদের লোকজন বৈধ পন্থায় মালপত্র আনতে গেছে। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো মারামারি হয়নি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, কারখানার মালিক পক্ষ থেকে কেউ পুলিশকে জানায়নি যে কারখানা থেকে ঝুট বের করবে। সেখানে বিএনপির দুই পক্ষসহ অজ্ঞাত কয়েকটি পক্ষ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।