স্ট্রাটফোর্ডের আকাশটা কি উজ্জ্বল আজ
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চুমু খায় পথে
তবু রোদের আলোয় নাচে মর্থাম রোড
বার বার ডাকছে আমায় বের হবে কবে?
পা রাখলেই পেয়ে যাবে তার ছোঁয়া
সেই সাথে নাগিনীর ফোঁস ফোঁস শ্বাস
শীতল বাতাস লিখে করতলে নাম
নাম লিখে ফুসফুস-গলিতে আমার
আদরে বুলায় হাত রক্ত কণায়
বাসা বেঁধে গান গায় প্রতি জীবকোষে
বাংলাদেশী যুবক তোমাকে সালাম
কি করে পারলে তুমি স্পর্শ বাঁচিয়ে থাকা?
কাগজের বুকে যতো লেখা-লেখা খেলা
নিদ্রা কি করে যায় লেপ কাঁথা মুড়ে?
শিহরণে জাগো তুমি এই মাটি ছুঁয়ে
ক্লিওপেট্রাও জেনে রাখো নীলের মাটি মেখে
বহুদিন আগে করেছিলো স্নান
পাঁচ ডিগ্রী উত্তাপে হে কবি
হৃদয় কি জমাট তবে? দেখো নিভৃতে
আগ্নেয়গিরি সেথা জ্বলে দিন রাত
কম্পনে কম্পনে প্রাণ জেগে উঠে
উড়ে যায় শব্দাবলী নতুন বাক্য নিয়ে
নিঃশব্দে ঘটায় যে অভ্যুত্থান।