বিনোদন

এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি বলেছেন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে দেহরক্ষী লাগে ঠিকই; কিন্তু তার বাইরে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পিছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয় (কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই) তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।
বৃহস্পতিবার রাতে সেলফিবাজদের ওপর বিরক্ত হয়ে তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
স্বস্তিকা লেখেন, আমি এখন থেকে আর কোনো ছবির প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের ছবিরও না। পরের ছবিরও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের।
কারণ অনেক জানিয়ে তিনি লেখেন, প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিকমাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে, এই কাজটা আসছে।
অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না।
যে প্রোডাকশন দাদারা গোটা সিডিউলে মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলে নিয়ে এলো, মাঝরাতে থাম্বস আপ আনতে ছুটল, তাকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
তিনি লেখেন, বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। টগরি দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউ কেই ডাকা হতো।
পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামাকাপড় ইস্রি করেছে তাকেও।
ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব।
তিনি লেখেন, সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনেই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হবো জানিনা।
হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাৎসি। আর কোনো ডেকোরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।
বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বেলন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আর আরো কয়েকশো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না। ধন্যবাদ।

আরও দেখুন

এ বিষয়ের আরও সংবাদ

Close