আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

হংকং-সংক্রান্ত ইস্যুতে গুরুতর আচরণের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক কংগ্রেস সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রধানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে চীন ও হংকংয়ের ছয় কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন ওই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। বিষয়টি জানিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেছেন, হংকং সম্পর্কিত বিষয়ে মার্কিন পক্ষ থেকে নেওয়া যে কোনো ভুল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনা পক্ষ দৃঢ় ও পারস্পরিক প্রতিশোধ নেবে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক দমন-পীড়ন’ এবং ‘শহরের (হংকং) স্বায়ত্তশাসনকে আরও হুমকিতে ফেলার’ অভিযোগ তুলে মার্চ মাসে ছয় চীনা ও হংকং কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞাভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন বিচার সচিব পল ল্যাম, নিরাপত্তা অফিসের পরিচালক ডং জিংওয়ে এবং প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রেমন্ড সিউ।
সোমবার ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, চীন মার্কিন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এগুলোকে ‘ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতি লঙ্ঘন করেছে। হংকং-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গুরুতর আচরণ করা মার্কিন কংগ্রেসম্যান, সরকারি কর্মকর্তা এবং এনজিও নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশি নিষেধাজ্ঞাবিরোধী আইন অনুসারে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত এপ্রিলের প্রথম দিকে অনেক দেশের ওপর ঘোষিত ব্যাপক শুল্ক ব্যবস্থা থেকে চীন ছাড়া বাকি সবাইকে সাময়িক ছাড় দিয়েছেন। তবে চীনা পণ্যে শুল্ক ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন তিনি। এর জবাবে চীনও ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ প্রকট হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক যেন আবারও আরোপ করা না হয়, সে জন্য বিভিন্ন দেশ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। এ তালিকায় চীনও রয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে চীনের পণ্যের ওপর আরোপ করা শুল্ক নিয়ে আলাপের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুল্ক নিয়ে বেইজিং বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছে। সব মিলিয়ে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী যে, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘খুব ভালো’ একটি চুক্তি হবে।

আরও দেখুন

এ বিষয়ের আরও সংবাদ

Close