সারাবাংলা

বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর: উপজেলা আ. লীগের ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসানসহ ৮ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে আদালতের বিচারক এসএম শরিয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন।
জামিন না পাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন- উপজেলা যুব লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রসুল সোহাগ, আমতলী পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব মীর, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মেলকার, হানিফ দফাদার, সুমন প্যাদা ও সাইদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেতা মো. মতিয়ার রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসানসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও প্রায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে আমতলী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান ৮৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ২৫ জনকে এজাহারভুক্ত রেখে বাকিদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। মামলার বাদী পুলিশের এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে আদালত শুনানি শেষে আংশিকভাবে নারাজি গ্রহণ করে চার্জশিট অনুমোদন করেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল কাদের মিয়া জানান, ৫ আগস্টের পর একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বিএনপি। আসামিরা এতদিন জামিনে ছিলেন। আমরা আবার জামিনের আবেদন করবো।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. ইসরাত হোসেন সুমন জানান, পুলিশ সঠিকভাবে চার্জশিট দেয়নি। আমরা নারাজি দিয়েছিলাম। তবে আদালত তা পুরোপুরি গ্রহণ করেনি।

আরও দেখুন

এ বিষয়ের আরও সংবাদ

Close