ফরিদপুরে কলেজছাত্র হত্যার ঘটনায় যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে কাজী মুনসেরাতুল রহমান আলিফ (১৮) নামে এক কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিফাত হোসেন আবির নামে (১৯) এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন। নিহত আলিফ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজী জিল্লুর রহমানের ছেলে ছিলেন।
তিনি সরকারি ইয়াসিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সিফাত হোসেন আবির কোতয়ালী থানার কমলাপুর কুঠিবাড়ী এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, এ মামলায় অপর দুই আসামি একই এলাকার হান্নান খা’র ছেলে রাশেদ খা (২৩) ও কোতয়ালীর পাটপাশা বাছারডাঙ্গী এলাকার বিল্লাল বাছারের ছেলে হিমেলকে (২০) খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সিফাত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে কাজী মুনসেরাতুল রহমান আলিফ প্রাইভেট পড়ার জন্য পূর্বখাবাসপুরে বাসা থেকে বের হয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে কলেজছাত্র আলিফকে সিফাত হোসেন ফোনে রাজেন্দ্র কলেজের শহর শাখার একাডেমিক ভবনের সামনে কুপিয়ে ও কিলঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে। এ সময় রাশেদ ও হিমেল আলিফকে হত্যা করতে সহযোগিতা করে।
গুরুতর আহত আলিফকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে গেলে সেখানে আলিফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সাভার এলাকায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত আলিফের বাবা কাজী জিল্লুর রহমান রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে, অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিচার পেয়ে সন্তুষ্ট।