Uncategorized

৬ মাস পর তোলা হলো শহীদ সুমনের লাশ

আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় ছয় মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ সুমন ইসলামের (২১) মরদেহ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর বকশীগঞ্জ কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।
পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ সুমন ইসলাম সাকোয়া ইউনিয়নের আমিননগর বকশগিঞ্জ গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি সাভারের আশুলিয়ায় একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানে থেকেই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেন তিনি।
সুমনের বাবা আব্দুল হামিদ জানান, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল মোড়ে আরএমএসটি টাওয়ারের সামনে ছাত্রজনতার আন্দোলনে যোগ দেয় সুমন ইসলাম। সেখানে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ হলে ৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। পরে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই আমিন নগর বকশীগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ছেলে হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শহীদ সুমনের মা কাজলি বেগম। এ অবস্থায় গত ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন বলেন, “কবর থেকে লাশ উত্তোলনে আদালতের নির্দেশ ছিল। এজন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ ওঠানো হয়। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”
বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদ বলেন, “আদালতের নির্দেশ ছিল একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলেনের। আমি সেখান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেখানে ছিলাম। লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

আরও দেখুন

এ বিষয়ের আরও সংবাদ

Close