সারাবাংলা
ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাসে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে কষ্ট পাচ্ছে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখিরাও।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াত করছে। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমছে তাপমাত্রার পারদ। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শ্রমিক আব্দুল মালেক (৫৬) বলেন, খুব ঠান্ডায় বের হওয়া যায় না। কাজে না আসলে খামো কি? বউ ছাওয়া নিয়ে তাই কাজে আসলাম।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের আমেনা বেগম বলেন, খুব ঠান্ডা বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। তারপরেও কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। কি আর বলি পেট তো আর ঠান্ডা বুঝে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।