সারাবাংলা

নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নিল ৫ কেজি ওজনের শিশু

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের নবজাতকের জন্ম হয়েছে। চিকিৎসারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক গড়ের চেয়ে ওই শিশুর ওজন বেশি। তবে নবজাতক ও প্রসূতি মা দুইজনেই সুস্থ আছেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেবার ওয়ার্ডে কর্মরত মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের এই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব হাসিমপুর পালোয়ান পাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী ও প্রসূতি মা শরিফা খাতুন (২৯) প্রসব ব্যথা নিয়ে রোববার সকালে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরবর্তীতে সেখানে কর্মরত মিডওয়াইফ-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ওই প্রসূতি মায়ের তৃতীয় বাচ্চার জন্ম হয়। ওই প্রসূতি মায়ের প্রথম দুই মেয়ে সন্তানও স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের সময় তাদেরও ওজন ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি ছিল।
প্রসূতি মা শরিফা খাতুন বলেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আগের বাচ্চাগুলোও নরমাল ডেলিভারিতে হয়েছে সেগুলোর ওজনও ছিল প্রায় ৩-৪ কেজি। এবার জন্ম নেওয়া ছেলে সন্তানের ওজন প্রায় ৫ কেজি। আল্লাহর রহমতে বাচ্চাসহ আমি সুস্থ আছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ৪ কেজি বা ৮ পাউন্ডের বেশি ওজনের বাচ্চাদের বলা হয় ফিটাল ম্যাক্রোসোমিয়া। শিশুর মা-বাবা ডায়াবেটিক আক্রান্ত অথবা মা-বাবার বেশি ওজন হলে শিশুর এমন ওজন হতে পারে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেওয়া ওই নবজাতকের মা-বাবার এমন ছিল না। নরমাল ডেলিভারিতে এমন সন্তান প্রসবে ঝুঁকি থাকলেও প্রসূতি মায়ের ইচ্ছা ও সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে প্রায় ৫ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম হয়েছে। বর্তমানে প্রসূতি মা-শিশু সুস্থ আছেন, আমরা তাদের প্রতি খেয়াল রাখছি।

আরও দেখুন

এ বিষয়ের আরও সংবাদ

Close