Uncategorized
‘দৌলতদিয়া নৌরুটে টানেল নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার’
নিজস্ব প্রতিবেদক
নদীর নাব্যতা ধরে রাখতে সরকার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ব্রিজ না করে টানেল করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সেখানে সেতুর পরিবর্তে আন্ডারপাস বা টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এখন থেকে সরকার সেতুর পরিবর্তে টানেলের দিকে নজর দিচ্ছে।’
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সংগ্রাম, নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নের মহাসড়কে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম’শীর্ষক সেমিনারে এসব বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নদী বাঁচাতে হবে, তা না হলে শ্যামল বাংলাদেশ থাকবে না। এত ব্রিজ করার দরকার কী? পদ্মা সেতু একটা হয়েছে। এখন দাবি উঠেছে দৌলতদিয়ায় আরেকটি সেতু হোক। দুটি সেতু হলে নদীর নাব্যতার কী হবে-এটা কিন্তু আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় আমরা টানেল নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছি। ওই দিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা রুটে আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় টানেলের দিকে নজর দিতে হবে। চট্টগ্রামে কর্নফুলী নদীর তলে যে টানেল হচ্ছে সেটারও ৭৫ ভাগ কাজ হয়ে গেছে।’
সেতু নির্মাণে নদীতে নাব্যতা কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেতু যত নির্মাণ করবেন নদী তত নাব্যতা হারাবে। অনেক সেতু উদ্বোধন হয়েছে, আরও ৫০টির মতো সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা মাওয়ার মতো এক্সপ্রেস ওয়ে ইউরোপের অনেক দেশেও নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও নেই। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা থেকে রংপুর, রংপুর থেকে একটা পঞ্চগড় ও আরেকটা বুড়িমাড়ী—এক্সপ্রেস ওয়ে করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। ফরিদপুর থেকে বরিশাল ফোর লেন করার জন্য এডিবির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। আগামী বছর দেশের সড়ক যোগাযোগের চেহারা পাল্টে যাবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট, পদ্মা সেতু সব উদ্বোধন হবে। শেখ হাসিনা তার ভিশন বাস্তবায়নে সব পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, মাস্টারপ্ল্যান করেছেন। কাজ যখন যেটা করার দরকার তিনি করছেন।