হে করোনা তোমার ভয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ আতংকে আতংকিত। মানুষ নামক অন্যন্য জীব ভয় পাচ্ছে। দিশেহারা করোনা নিয়ে লিখার খুউব একটা ইচ্ছে ছিল না। কারণ মহাআতংকটা আমার কাছে রহস্যময়। তবে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত। স্বেচ্ছা নির্বাসনে আমায় ভাবতে, বলতে, লিখতে বাধ্য করলো। বৃট্রিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির এমপি নাদিন ডোরিয়েস, সুস্থ হয়ে ফিরে এস উন্নত বিশ্বের অত্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন ন্যাশনাল ও পাবলিক হেল্থ বিভাগ। দক্ষ চিকিৎসকবৃন্দ! তাহলে ইসরাইলের অবস্থা কেমন? প্রতিরোধ টিকা/ভ্যাকসিন আবিস্কৃত হয়নি। সম্প্রতি ইদুরের উপর করোনা ভাইরাস প্রয়োগ করেছে লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজ। এই প্রতিক্রিয়া দেখার পর প্রতিরোধকারী অষুধ নির্ধারণে সক্ষম হবেন।
করোনা ভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা শব্দ অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি অনেকটা মুকুটের মতোই। ভাইরাসের উপরি ভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গ সংস্থান হয়। এ প্রোটিন সংক্রামিত করে টিস্যু বিনষ্ট করে। প্রাণীর দেহ এ ভাইরাস মানব দেহে সংক্রামিত হয়।
সারা বিশ্বে লাখখানিক মানুষ আক্রান্ত। এখন সাড়ে সাত কোটি মানুষ। তার আগে মধ্যযুগে প্লেগ, ২০০২ ডেঙ্গু। সার্স এবেল!! বেশ দুতিনবছর ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া এমনই সব নুতন ভাইরাস আক্রমন করছে। করোনা ভাইরাস কভিড-১৯
মাস্ক কেনা ধুম পড়েছে। কিন্তু এটা সম্ভবত: সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী হবে ১০ টাকার মাস্ক রাস্তায় ৪০টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে। ইউনির্ভাসিটি অব আইওয়ার কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক এলি পেরেন সেভিচ বলেন, সার্জিক্যাল ম্যাস্ক কিংবা রেসপাইরেটর মাস্ক কোনটিই একজন ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে না। মাস্ক তার সুফল প্রমাণ দিতে পারেনি বরং মাস্ত পরার কারণে হাত দিয়ে বার বার মুখ স্পর্শ করা হয়। তারমতে এটি হাচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। বাতাসের মাধ্যমে নয়। সংক্রামিত হলে তখন অন্যদের রক্ষার জন্য পড়তে পারেন।
ডাঃ উইলিয়াম স্ক্যাফনার মেডিসিনের অধ্যাপক ভ্যাডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারমতে না। ভাইরাস নাক মুখ ডেকে ঠেকানো সম্ভব নয়। ডাঃ ডেভিড ক্যারিং টন ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন সেন্ট জর্সেস। ম্যাস্কগুলি ভাইরাস ঠেকাতে পারে না। অধ্যাপক জোনাথান ভাইরোলজি, ইউনির্ভাসিটি অব নটিংহাম বলেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে রেসপিরেটর হিসাবে তৈরি ফেস মাস্কগুলো ইনফ্লুয়েঞ্চে ঠেকায়। রেসপিরেটর এমন এক কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র যার মধ্যে বিশেষায়িত ফিল্টার আছে।
বিশেজ্ঞদের সার্বিক পরামর্শ ১) গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোন ২) চোখ ও নাক-কান স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন। ৩) যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যকর জীবনচরণ পালন করুন।
বিশ্বে এর পূর্বে আসা কঠিন ভাইরাস কি আগে আসেনি? কেন জনমন এত আতংকিত। ২০০২ -২০০৩ সালে সার্স। MERS ২০১২। ২০১৪-২০১৬ এবোলা এসেছিল। ইনফ্লুয়েঞ্চা প্রতিবছর লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়। নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। ভয় আতংকই মুল। ঝঅজঝ/গঊজঝ এর মতই চীনের উহানে উদ্ভুত করোনা অনেক ব্যাপক। সঙ্গরোধ বা কোয়ারেন্টাইন মূল্যবান রোগ নিয়ন্ত্রনের। অষুধ/ টিকা আবিস্কার প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশে থাকতে পারে। ২/৪ জন সনাক্ত করা হয়েছে। ২/৩ জন সুস্থ হয়েও গেছেন।
করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বকে এলোমেলো করে দিয়েছে। এযেন স্বেচ্ছা আত্মহনন। ইস্ রাজনীতিবিদরা অনুগ্রহপূর্বক এক থাকুন। সরকারকে মিথ্যা বিড়ম্বনায় ফেলবেন না। তাতে দেশ এক মহা বিভীষিকায় পড়বে। বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেই অত্যন্ত আবেগ প্রবণ। কিন্তু ধার্মিক জাতি। তারা সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসে। বিশ্বাস করে। নিবেদিত। ভাইরাস আতংক দিন গড়াচ্ছে অতিরিক্ত আতংক বাড়ছে। মাথা ঠান্ডা রেখে আতংক ছেড়ে প্রশান্তি নিয়ে সমস্যা থেকে বেরোনার পরিত্রাণ খুজি। খামাকা খামাকা আতংক বাড়িয়ে জনগণ কে দূর্বল না করি। সাহসী/ঠান্ডা/ ধ্যানস্থ মানুষই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমরা সৃষ্টিকর্তার অনন্য শ্রেষ্ট জীব। তাই মেধা-মনন কে সার্বজনীন করে ঐক্যবদ্ধ হলে করোনা পালাতে বাধ্য। সবাই পত্রিকা খুললেই কয়েকটা পত্রিকায় দেখা গেছে। এলিজাবেথ এর হাস্যউজ্জ্বল মুখ। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থতায় ফিরে এই পৃথিবীর জন্য সুপরামর্শ দিয়েছেন। সবাইকে। ১) দয়া করে কেউ আতংকিত হবেন না। ২) স্বাস্থ্যবান তরুন আপনি নিজের প্রতি সুষ্ট জীবনাচারন করে সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি তার জীবন্ত উদাহরণ ৩) বয়স্ক/ ডায়াবেটিস রোগীরা আরও একটু যত্নশীল হোন ৪) ঘরে বসবাস, বিশ্রাম, প্রশান্তি ও নিয়মিত অষুধ সেবন করেই সুস্থ হয়ে উঠেছি। সিয়ারাল, যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর আক্রান্ত। এবং প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
টিকা/অষুধ নিদিষ্ট কোন আবিস্কৃত হয়নি। সৃষ্টিকর্তা চাইলে প্রক্রিয়াধীন ব্যবস্থায় তা অচিরে সম্ভব হবে। প্রসঙ্গক্রমে আমি এমন একটি ঘটনা উপস্থাপন করছি। ২০০২ সালের জুলাই মাসে। আমার বড় বোনের মেয়ে শবনম গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে ভর্তি হয়। ঐ সময় সিজেনাল বর্ষায় ওদের ক্লাসের ৭জন মেয়ের চোখ উঠে এবং জ্বর হয়। ২জন মেয়েসহ ও আমার বাসায় আসে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর মেডিকেলে চিকিৎসা করাই CMO ডাঃ হান্নানের অধীনে। দুটি মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠে সহজেই। শবনম ২ দিন পর রাত ৮টায় দিকে দেখ্ছি টেম্পারেচার ১০০ এর উপরে উঠে ১০৩ হয়ে গেছে। হঠাৎ দেখি মুন্নী ওকে ধরে বাথরুমে নিয়ে সারা গা স্পাঞ্জ করছে। আমি মেডিকেলে যেয়ে ডাক্তাররা অষুধ বাড়াতে বলি রাজি হলে না। আমি দেখছি ও ফর্সা মানুষ।
ওর শিরার মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল অতি দ্রুত গতিতে হচ্ছে। আমি পানিপট্টি দিতে দিতে ওর আব্বা ডাঃ আজিজুল হক সাহেবকে বলি আমি ওর টেম্পারেচার নামতে দুটি NEWFLOXIN দিতে চাই। সাথে ডবল এইচ একটা ও গ্যাসের এন্টাসিড। আগে সাবু এনে খাইয়ে অষুধ খাওয়ালাম। ঘন্টা খানিকের মধ্যে জ্বর নামলো। আমি নাজমুলকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক বার হাসপাতালে থাকতে বা ডা: আজিজুল হক সাহেবেরে ডাক্তারী দেখতে, দেখতে প্রাথমিক চিকিৎসা রপ্ত করে ফেলেছি। আমার মনে হচ্ছিল আগে টেম্পারেচার কমাই তারপর সাইড ইফেক্ট। আরও দুই হাসপাতালে আমি এমন নিজস্ব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে রোগীর ভয়াবহতা কমিয়ে ফেলেছি। সেজন্য সবাই ব্যঙ্গ করে ডাক্তার বলে।
এক: বেশী ব্যবহৃত দরজা বা বাটন গুলি ধরার সময় টিস্যু ব্যবহার করা।
দুই: টেবিল/চেয়ার/ ফোন পরিস্কার করা।
তিন: কাপড়-চোপড় ভালকরে পরিস্কার করা। সম্ভব হলে রৌদ্রে শুকানো।
চার: নিয়মিত গোসল করা। মুখ ধোয়া।
পাঁচ: ঘর মুছা ভাল করে।
ছয়: বাজারে গেলে যথাসম্ভব ছোয়া বাচিয়ে চলুন।
সাত: মাস্ক পরলে সতর্ক হয়ে।
আট: সাবান/গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
নয়: সবচেয়ে সতর্ক হোন কাশি ও হাচি দেয়ার সময় এবং টিস্যু ব্যবহার করে ডাসবিনে ফেলুন। জ্বর এলে অবশ্যই টেম্পারেচার ১০০ এ রাখার অষুধ গ্রহণ করুন। কপাল পানি পট্টি দিন। আক্রান্তরা আলাদা বিছানায় /ঘরে রাখুন।
দশ: গৃহপালিত পশুদের নিয়ে অতি আদর/সংস্পর্শ ছাড়ুন। কিছু পরিবারে বিড়াল/কুকুর ঘোড়া বড্ড মাতামাতি আদর আছে। ছাড়ুন। এগারো: আতংক ছাড়ুন। সৃষ্টিকর্তার দেয়া এজীবন নির্ধারিত সময় শেষে মহাজাগতিক সফর। এই বাইরে একটি প্রানীও না। জীবন যেমন স্বাভাবিক। মৃত্যু ও তাই। সম্মানজনক ও সৃষ্টিকর্তার নাম নিতে নিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা প্রিয়জনের কোলে মাথা রেখে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ধার্মিক। তারা গভীর ভালবাসা/ শ্রদ্ধায় সৃষ্টিকর্তাকে ধরলে। প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন করুন। সংকটে সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।
সবচেয়ে বড় ভয় আর্থিক খাত। খাদ্য, অষুধ। সারাপৃথিবী কেন এত ভয় পাচ্ছে। আধুনিক মানুষ সাহসী মানুষ লড়াই করুক। ভাইরাস পালাবেই।
দয়া করে সামনের দিনের যুদ্ধের কথা। সমন জেনকিংস গার্ডিয়ানের লেখক, আশংকা করছেন ২০০৮ সালের মত বৈশ্বিক খাত আরেকটি মহাসংকটে। বাজার নিম্নমূখী। বিনিয়োগ স্থবিরতায় বেকারত্ব বেড়েছে। ইতোপূর্ব মন্দাগুলি এত প্রকট ছিল। এটি শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমদানী-রপ্তানী যোগাযোগ ও পর্যটন খাত প্রায় বন্ধ। বিশ্ব জুড়ে এয়ারলাইন্স ও শিল্প কারখানা গুলো ঝুকিতে পড়ায় বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমেছে। মধ্যযুগে প্লেগ মহামারীর আকার ধারণ করায় তখন মানুষ উপদেশ গ্রহণ /আরোগ্য লাভও ভবিষ্যৎ বানী শুনতে ছুটেছিল ধর্মীয় উপাসানালয়ে। আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকলেও চাহিদা জোগানের ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরী। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে এমনিতেই মানুষ মারা যাবে।
অসুস্থতার ভয় দেখিয়ে করোনা ভাইরাস পৃথিবীতে দুর্বল করেছে রাতারাতি। সাথে অর্থনৈতিক পরিণতির কথা চিন্তা করতে পারছিনা। অর্থনীতিবিদদের চিকিৎসার পাশাপাশি সবল ভুমিকায় দাড়ানো প্রয়োজন এখনই। তাই দলমত নির্বিশেষে এই ভাইরাসকে সাহসের সাথে কোটি কোটি মানুষের ভরসা স্থল হবে। হে সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা জানাই, ক্ষমা কর, দয়া কর তোমার রহমতের ছায়ায় সবাইকে রাখ সারাক্ষণ।
বিশ্বায়ন একসুত্রে গেথেছে। ফলত ভালমন্দ উভয় একই ভাবে সবখানে মিলিত হচ্ছ। গত বছরের জন হকিন্স সাময়িকীতে ছিল ভাইরাস সংক্রমন হতে পারে যা অর্থনীতিতে বড় একটা প্রভাব ফেলবে। ইসরাইলের গোয়েন্দা বিভাগ উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি চীনের প্যাথজেন লেভেল এ একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবানু প্রযুক্তি গবেষানাগার। ২০১৯ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এ তথ্য পাওয় যায় অগ্রিম যুক্তরাষ্ট্র/ইসরাইলের মাধ্যমে। আর খোদ চীনা বিজ্ঞানী গবেষক কি করলেন? তাদের মনে সন্দেহ কেন জানলে না। তাই পূর্ব পরিকল্পিত অশুভ শক্তির কাজ কিনা? শিল্প প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিপুল সমাহার। আক্রান্ত হওয়া মানেই তো। সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ।
করণীয়:
এক: হাচি/কাশি /থুতু কফ যেখানে সেখানে ফেলবেন না।
দুই: টেম্পাচার জ্বর আসলে মাথায় পানি দিন। গা স্পাঞ্জ করুন।
তিন: হাপানী এখন প্রতি ঘরে ঘরের নিত্য মেহমান। তাই ইনহেলার ও নেবুলাইজার মেশিন রাখুন। বাড়লে/ তিন দিন পরে দিন ও থাকলে কাছাকাছি হাসপাতালে যেয়ে করুন।
চার: লবন/গরম পানি গড়গড়া করুন বার বার ভিতরের নালা বের হলে, শ্বাস কষ্ট কমবে। লবন গরম পানি এ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।
পাঁচ: আতংকিত হবেন না। অনুগ্রহপূর্বক নিজেকে উপর আল্লার কাছে নিবেদন করে দিনে ২০ বার করে ১০০ বার ডিপ ব্রিদিং করুন। ধর্ম অনুযায়ী স্মরণ করুন। মাফী চান। এলিজাবেথ কোন ডাক্তারের কাছে যান নি। জ্বর, নাকবন্ধ, গলা ব্যাথা, বমি বমিভাব আক্রান্ত হলেও চলে যায়। সেরে উঠেছেন।
ছয়: সরিষার তেলে রসুন দিয়ে ভেজে গরম গরম গলা, বুক, পিঠে হাত/পায়ের তালুতে ও গলায় দিন। শ্বাস কষ্ট কমবে।
সাত: গুজবে কান দেবেন না। অনুগ্রহপূর্বক ছড়াবেন না।
আট: কুকুর/বিড়াল /পশু/পাখি চটকাবেন না। চুমুও দেবেন না।
নয়: উৎপাদন ব্যবস্থা সচলের ভাবনা। থমকানো জীবনকে চলমান করা।
দশ: শ্রমজীবি মানুষকে সচল থাকা। আশু অসুখের সমস্যা কারণ, অসুখ ও সমাধানে কাজ করতে হবে সাহস নিয়ে। আতঙ্কিত হয়ে এলোমেলো পদক্ষেপ ক্ষতি/প্রাণ হানির পরিমাণ বাড়াবে।
আহা! করোনা নিয়ে এতো আতংকিত হয়ে সচেতন হই। এ মুহুর্তে নাসার বিজ্ঞানীদের ভাষ্য বৃটেনের এক্সপ্রেস নিউজ জানিয়েছে ৪ কিলোমিটার লম্বা একটি গ্রহানু মহাকাশে তার আগমন দেখছে। ঘন্টায় ৩১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর দিকে ধাবমান ২৯ শে এপ্রিল পৃথিবীর কাছে আসবে। প্রতি ১০০ বছরে গ্রহানু একবার আছড়ে পড়ে। তবে এ্যাটমোফিয়ারে ধ্বংস হয়। তবে বিজ্ঞানীরা ভয় পাচ্ছেন।
আতংকিত ক্ষতির পরিমাণ সামগ্রী সংকটপূর্ণ ভবিষ্যৎ। বৈশ্বিক সম্ভাব্য ৯ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের আঘাত।
বিপর্যস্ত বিশ্ব পর্যটন খাত। সম্ভাব্য ৫ কোটি মানুষ বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, চাকুরি হারানো ঝুকিতে, বাংলাদেশকে আশু সংকটময় ঝুকি পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে অর্থনীতি বিদদের নিয়ে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ। আগাম পরিকল্পনা।
বিখ্যাত পাকিস্তানী ক্রিকেটার শোয়েব আখতার চীনাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। আমেরিকা দোষী করছেন চীনকে। তেমনই চীনের চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব। চীনের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও দাবি করেন। মার্কিন সেনারা উহানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছেন। এখন দোষ না খুজে সকল দলমত দেশ প্রধানের দায়িত্ব গুনী, দক্ষ বিজ্ঞানী/চিকিৎসকদের নিয়ে জরুরী ভ্যাকসিন তৈরি করে সহজে সুলব মূল্য বিতরণ করা। মহামারীর প্রাদুর্ভাবে আধুনিক সমাজে অরক্ষিত/ নাজুক তার বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই প্রয়োজন।
প্রবল প্রতাপে দাপিয়ে করোনা মহারাজ কুপোকাত করছেন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি। অতিভোগ। অতি মাত্রায় নগরায়ন বনাঞ্চল নিধন। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের/জৈব প্রযুক্তির বাধন হারা ব্যবহার। জনসংখ্যার অতিরিক্ত ক্রমবর্ধমানতা/ পরিবেশ/আবহাওয়ার দ্রুত অতি দুষণ। ফলত ভাইরাসের জেনেটিক বিদ্রোহ, চারদিকে আক্রমণ করছে। দিন তা বৃদ্ধি পাবে। অনন্য সেরা জীব মানুষকে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তার আইনে ক্ষমতা দাপটে নয়। আধুনিক মানুষ সকল ভাইরাসের জন্মদাতা। সর্বোপরি চেষ্টা চালাতে হবে, চলমান প্রতিকূলতার পর পূনরায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে সাহস, ধৈর্য্য ও নুতন নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করে উপায় করতে হবে।
এমনি সার্স, ডেঙ্গু, চিকুন গুনিয়া, করোনা আসবে যাবে। তবে আতংক ছেড়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ দেশ নির্বিশেষে আতঙ্ক ছেড়ে জন্মিলে মরিতেই হবেই একথা মাথায় রেখে পূর্ব থেকে সময়মত জরুরী আশু কর্তব্য সম্পাদন করতে হবে। সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট কুষ্টদের রোগীদের সুশ্রষায় নেমেছিলেন। বিশ্ব রাজনীতিতে এমন মানবিক নেতা আজ কই? তাই মানবিক একজন নেতা বের হোন, তিনি সকল রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে আগামী বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে পরিত্রানের পথে নামতে হবে। তা এখনই জরুরী। তা করোনার চেয়ে ভয়াবহ। কোটি কোটি মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পতিত হয়ে মারা যাবেন। আশু কর্তব্য শুভ কাজ অতি জরুরী।
রোগের প্রতিষেধক :
উহানে অবস্থিত ও চায়নিজ বয়স্ক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। নিজে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং দাওয়াই হিসাবে আটপীস নখ সাইজ আদা ৭ কাপ পানিতে ফুটিয়ে ১ কাপ খেতে বলেছেন ৭ দিন।
আতংক করা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে। তাপমাত্রা। শরীরে স্বাভাবিক রাখতে হবে। কফ/কাশি থাকলে সাবধানতা বজায় রাখলেই। সুস্থতা সম্ভব।
* উপ-রেজিস্ট্রারার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়