ইলেকট্রনিক ফাইলিংয়ে (ই-ফাইলিং) দেশের সেরাদের সেরা স্থান অধিকার করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। বুধবার দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক ফাইলিং এর ফলাফলে সেরাদের সেরা তালিকায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নাম প্রথম স্থানে উঠে এসেছে।
একসেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) সূত্রে জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সেরা ২৫ টি ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলার মধ্যে ২৫ হাজার ৯শত ৮৫ টি ডাক নিষ্পন্নের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন প্রথম স্থান অর্জন করে। একই সাথে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে স্ব উদ্যোগে সৃজিত নোটের সংখ্যা ৬ হাজার ৮ শত ৮৬ টি, ডাক থেকে সৃজিত নোট ৮ হাজার ৮ শত ৫৭ টি, নোটে নিষ্পন্ন ১১ হাজার ৯শত ২৮ টি, আন্ত:সিস্টেম পত্রজারিতে নিষ্পন্ন নোট ৪ হাজার ৯ শত ৩৯ টি, ইমেইল ও অন্যান্যভাবে পত্রজারী ১ হাজার ৫২ টি।
গত বছরের ২৩ জুন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন জনাব অতুল সরকার। প্রথম দিনেই তিনি জেলা প্রশাসনে কর্মরতদের সাথে আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে ই-ফাইলিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর প্রতি নিয়তই এ বিষয়ে তিনি নিবিড় তদারকি করেন। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের মধ্যে ই-ফাইলিং র্যাংকিংয়ে সর্বনিম্নের কাছাকাছি থেকে উপরে উঠতে থাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। ফলশ্রুতিতে গত কয়েক মাস ই-ফাইলিংয়ে দ্বিতীয় থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসের ফলাফলে ‘এ ক্যাটাগরি’ ২৫ টি জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে।
মূলত: সরকারি অফিসে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। ই-ফাইলিং সরকার ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়াচ্ছে, জনগণ ও সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করছে। যা এখন ক্ষেত্র বিশেষের বিজ্ঞান নয়, সার্বজনীন বিজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। সারাবিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে কাজ চালানো যায় এ সুবিধা নিয়ে।