একাত্তরের দেশে
পরিস্থানের একটি মেয়ে যাচ্ছে ভেসে ভেসে
গান কুড়োবে প্রাণ কুড়োবে লুকিয়ে আবডালে সখী হবে ফুল-কলিদের ছড়ানো জঞ্জালে
ওদের চাঁদের দেশে বাড়ি
নিত্য-নতুন কুতুহলে আকাশে দেয় পাড়ি
পরি বলে কথা
এরা চিরকালই সবুজ
বয়স কিছু কম হলেও
একজনও নয় অবুঝ
বাড়ি ছাড়ার আগে ওকে ডেকেছিলেন রাণী;
সেই সুদূরেই যাবে যখন মেয়ে
ভালো দেখে আর কোনো দেশ নাও নি কেন চেয়ে এরা আত্মঘাতী জাতি
নিজের সাথে নিজেরাই করে জালিয়াতি
সন্দেহ হয় দেশটাই না মিলিয়ে যায় পাছে
অমন দেশে পরীর দেখার পরীর শেখার এমন কি আর আছে?
রাণীর কথায় স্মিত হেসে বলেছে এই মেয়ে : আছে গো মা,আছে অনেক কিছু
নইলে কি আর এত্তো জাতি লাগতো এদের পিছু না-ই বা গেলুম হাজার বছর পিছে
হাল আমলে ফিরঙ্গিদের লুটতরাজ কি মিছে এখন যে সব বড় জাতি দুনিয়া লুটে খায়
ক’দিন আগেও ওরা সবাই লুটিয়েছে এদের পা’য় ওরাই আবার মেরেছে এদের
ধর্ম-জাতির জাঁতাকলে পিঁষে
নিঃস্ব করেছে ‘পুরনিয়ামত’ নীলের তীব্র বিষে জাত লুটেরা বর্গীরা তো এখনো ওৎ পেতে
মওকা পেলে দেশটাকেই ‘মাৎসায়ন’-এ খেতে
লজ্জাবতী হয়ে এরা মিইয়েছে বারবার
পেরিয়েছ বৈরী হাওয়া,দুস্তর পারাবার
সুদূর থেকে এসে যারা লুটেপুটে খায়
কৌটিল্যে ওরা সবাই ‘আর্য’ বনে যায়
যুগে যুগে যারা এদের করেছে ভিখিরি
তাদেরও এরা প্রেম দিয়েছে হৃদয় নিঙাড়ি
ভালোবাসার এমন নজির আর কোথাও আছে নিঃস্বার্থ আত্মবলি শিখব এদের কাছে
আমাকে তুমি দূত করে দাও মা
আমি ওদের জানিয়ে দেব পরীর শুভেচ্ছা