ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রুমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকায় সেই রুমে বসে কোনো দিন সভা করেননি সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আলিম। ইউপি নির্বাচন দুই বছরের অধিক সময় ধরে অতিবাহিত হলেও চেয়ারম্যান মাত্র কয়েকদিন পরিষদে এসেছেন। মেম্বরদের নিয়ে কোন দিন সভা পর্যন্ত করেন নি। ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ৫০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি জনপ্রতি ১শ টাকা করে নিয়েছেন’ বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেছেন বক্তারা।
বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরার লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের অর্ধ কোটি টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। ঠিক তখনই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ইউনিয়নের উন্নয়নের কোন কাজ না করে অর্ধকোটি টাকা লুটপাট করেন। ইউপি সচিবের যোগ সাজসে তিনি ইউনিয়নের সকল মেম্বরদের কাছ থেকে রেজুলেশন বিহীন সাদা কাগজে সহি করিয়ে নিয়েছেন। কি কারণে মেম্বরদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয় কোনো ইউপি সদস্যকে ককনও জানানো হয়নি।
সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজের সভাপতিত্ব মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রহমত, লাবসা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মনিরুল ইসলাম, কাজী মনির, সাঈদ আলী সরদার, আসাদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, সাবেক মেম্বর রবিউল ইসলাম, সরদার নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, গাউস, ইয়ারুল, সদর উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি এনামুজ্জামান নিপ্পন, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, মহসিন হাবিব মিন্টু প্রমূখ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
- আমাদের রাজনীতি ডট কম-এর সৌজন্যে